ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাক লিংক খুবই প্রয়োজনীয় অ্যাসেট হিসেবে কাজ করে।
এটা সবার জন্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ । কিন্তু কেউই এর জন্য সেভাবে পরিশ্রম করতে চায়না ।
এই ব্যাক লিঙ্ক আপনার রাঙ্কিং বুস্ট করতে এবং আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলে রাঙ্ক করার জন্য আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
কিন্তু নামিদামি সোর্স থেকে ব্যাক লিঙ্ক পাওয়া সহজ নয়।
আপনি জাস্ট আপনার সাইট টা একটি ডিরেক্টরিতে সংযুক্ত করে দিলেন আর সেটা রাতারাতি গুগলের প্রথম পজিশনে চলে আসলো – ব্যাপারটা সেরকম নয়।
এমন আশা করাটাও বোকামি।
আপনাকে লিঙ্ক নেয়ার জন্য হাই কোয়ালিটি সাইট খুঁজে বের করতে হবে।
কিন্তু সেটা পাওয়া সহজ কথা নয়। বিশেষ করে যদি আপনার কোন কানেকশন না থাকে।
তাই, যখন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার ভালো মানসম্পন্ন ব্যাক লিঙ্ক দরকার – তখন আপনি কি করবেন?
আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে এমন কিছু টুল আছে যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি আপনার কম্পিটিটরদের উপর নজর রাখতে পারবেন।
আর আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, আপনার কম্পিটিটরদের খুব চাহিদা সম্পন্ন ব্যাক লিঙ্ক অবশ্যই থাকতে হবে।
কিন্তু সেগুলো পেতে হলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে কোন রকম কাম্পেনিং ছাড়াই তাদের পরিশ্রমের ব্যাক লিঙ্ক আপনার কাজে লাগাতে পারবেন।
আর এটা বেশি কঠিন কিছু নয়।
আপনার কোন ব্যাক লিঙ্কগুলোতে ফোকাস করা দরকার এবং আপনার কম্পিটিটরদের মেহনত কিভাবে চুরি করবেন –সেটাই আর্টিকেলে আলোচনা করব।
কোন ধরনের ব্যাক লিঙ্ক গুলোতে আপনার ফোকাস করা উচিত
একজন মার্কেটারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হচ্ছে ব্যাক লিঙ্ক। কিন্তু এর মানে এ নয় যে যেকোনো ব্যাক লিঙ্ক হলেই হল।
গুগল সঙ্গত কারনেই আমাদেরকে অবাঞ্ছিত ব্যাক লিঙ্ক চিহ্নিত করার উপায় বলে দিয়েছে।
সব ব্যাক লিঙ্ক একরকম নয়। কিছু ব্যাক লিঙ্ক আপনার SEO এর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে অথবা আপনাকে খারাপ জুস সরবরাহ করতে পারে।
বেশিরভাগ লোকই প্রথমে সে ধরনের ওয়েবসাইটই খোঁজে যেখান থেকে পেইড ব্যাক লিঙ্ক পেতে পারে।
অথবা, তারা আরেকটি সাইট বানায় ফ্রী ব্যাক লিঙ্ক পাওয়ার জন্য।
তারপর তারা পরিচিত সাইট থেকে ফ্রী ব্যাক লিঙ্ক পাওয়ার আশায় ডিরেক্টরি চালু করে ।
কিন্তু, প্রকৃত পক্ষে এর কোনটাই অরিজিনাল ব্যাক লিঙ্ক টপকাতে পারেনা।
ডিরেক্টরি সেভাবে কাজ করে না। কিন্তু কেন?
এর কারন হচ্ছে , এগুলো যারাই সাইন আপ করে অথবা সামান্য ফি দেয় তাদেরই লিঙ্ক দেয়।
এর মানে এ লিঙ্ক গুলো কার্যকর হয়না। গুগোল জানে যে এটা একটা ডিরেক্টরি । সার্চ ইঞ্জিন এটা ধরে ফেলতে সক্ষম।
সার্চ ইঞ্জিন জানে যে ডিরেক্টরি চকলেট , ক্যান্ডি এর মতই লিঙ্ক ধরিয়ে দেয় আর এ কারনে লিঙ্ক জুসও কম হয়।
তাহলে, আপনি কোথা থেকে শুরু করবেন?
অয়েল, চলুন কিছু ডাটা দেখে নেই।
২০১৬ সালে, গুগল একটা প্রশ্ন উত্তর ভিডিও রিলিজ করেছে যেখানে গুগলের সার্চ কোয়ালিটি সিনিয়র স্ট্রাটেজিস্ট Andrey Lipattsev বলেছেন যে, লিঙ্ক এবং কন্টেন্ট ই দুটি প্রধান টপ রাঙ্কিং ফ্যাক্টর ।
প্রক্রিতপক্ষে, গুগল ফ্যাশনে তারা যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয় সে সম্পর্কে অবহিত করেছে।
সর্বোপরি , গুগল আমাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছে যে, কন্টেন্ট রাঙ্ক করার জন্য লিঙ্কই বিশাল একটা ফেক্টর হিসেবে কাজ করে ।
বস্তুত , এটা প্রথম দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি ।
আপনি যদি সংক্ষেপে জানতে চান, তবে বিষয়টি এরকম;
আপনি যদি গুগলে ভাল রাঙ্ক পেতে চান, ব্যাক লিঙ্ক আপনার অবশ্যই লাগবে।
সহজ এবং সিম্পল ব্যাপার হচ্ছে এর কোন বিকল্প নেই ।
আপনি বেস্ট কন্টেন্ট পাবলিশ করলেন।কিন্তু অন্যরা যদি এর ব্যাক লিঙ্ক না করে , গুগল এটাকে হাই কোয়ালিটি এবং ইনফরমেটিভ মনে করবেনা।
কিন্তু যেনতেন ব্যাক লিঙ্ক হলেও হবেনা ।
আশার কথা হল , এইসব ডাটা কিছু গবেষণা দ্বারা ব্যাকআপ করা সম্ভব।
One Million SERPs এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী , টপ রাঙ্কিং পোস্টগুলোর খুব বড় একটি ফ্যাক্টর ছিল। টোটাল এক্সটারনাল ব্যাক লিঙ্ক।
গুগলের ১ নাম্বার রাঙ্ক পাওয়া পোস্টগুলির সবসময়ই সর্বাধিক ব্যাক লিঙ্ক থাকে।
ব্যাক লিঙ্ক থাকে।
ব্যাক লিঙ্ক যত বেশী, লাভ তত বেশী।
আবারও বলছি, এর মানে এই নয় , যেকোনো রকম ব্যাক লিঙ্ক হলেই হল।
আপনি যদি ব্যাক লিঙ্কে ডাটা পর্যালোচনা করেন দেখবেন যে, রেফারিং ডোমেনের সংখ্যাও খুব বড় একটা ফ্যাক্টর ।
এর মানে আপনি যত বেশি আলাদা আলাদা সাইট থেকে লিঙ্ক পাবেন তত বেশি ভাল।
আপনি চাইলেই Quick Sprout থেকে ১০০০০০ ব্যাক লিঙ্ক পেতে পারবেননা ।
আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন সোর্স থেকে ব্যাক লিঙ্ক পেতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির অনেকগুলো ওয়েব সাইট হলে ভাল হয়।
এটা খুব সহজ কাজ নয়।
আপনাকে হাই ডোমেইন লিঙ্ক অথরিটি সাইট থেকেও লিঙ্ক পেতে হবে।
ডোমেইন অথোরিটি হচ্ছে এমন একটা ম্যাট্রিক যেটা ওয়েব সাইট কে গুরুত্ব এবং প্রভাবের উপর ভিত্তি করে গুগলে পাওয়ার রেটিং দেয় ।
আপনি হায়ার ডোমেইন অথোরিটি সাইট থেকে যত বেশি ব্যাক লিঙ্ক পাবেন, আপনি তত বেশি লিঙ্ক জুস পাবেন।
উদাহরণ সরূপ, ৩১ DA(Domain Authority) যুক্ত ওয়েব সাইটের তুলনায় ৮২ DA যুক্ত ওয়েব সাইটের লিঙ্ক অধিকতর কার্যকর ।
যখন কোন অথোরিটি সাইট আপনাকে লিঙ্ক দেবে, গুগল তখন আপনার সাইটকেও সেরকমই মূল্যায়ন করবে ।
মোটকথা , আপনার সাইটের রাঙ্কিং এ কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য ত্রিমুখী অ্যাকশান দরকারঃ-
১/ মোট ব্যাক লিঙ্কের সংখা।
২/ ভিন্ন ভিন্ন ওয়েব সাইটের লিঙ্ক।
৩/ হাই ডোমেইন অথোরিটি সাইট লিঙ্ক।
ব্যাস , এবার আপনি যখন বিষয়গুলো ভালো ভাবে জানবেন এরপর কিভাবে আপনার কম্পিটীটরদের পরিশ্রমের ফসল লিঙ্ক প্রস্পেক্টিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাবেন সেটা জেনে নিন।
কম্পিটীটরদের ব্যাক লিঙ্ক প্রোফাইল নজর রাখুন
এখন আপনি যেহেতু লিঙ্ক কোয়ালিটির গুরুত্ব সম্পর্কে জানেন, এবার আপনার কম্পিটীটরদের ব্যাক লিঙ্ক প্রোফাইলে নজর রাখতে হবে।
এখানে আপনাকে ডিফারেন্ট সাইটের হাই কোয়ালিটি লিঙ্ক চিহ্নিত করতে হবে।
প্রথমত, আমি কিছু গুরুত্তপূর্ণ তথ্য ট্রাক রাখার জন্য গুগল শিটে একটি নতুন স্প্রেড শীট শুরু করতে বলব।
আমি একটা সাইটের ডোমেইন এবং পেইজ অথোরিটি এবং এর লিঙ্ক কন্টেন্টের নোট রাখতে পছন্দ করি ।
উদাহরনসরূপ, আপনি একটা স্প্রেড শিট এভাবে সাজাতে পারেন ;
আমি লিঙ্ক কেম্পেইনের সময় এটা করি প্রতিবারই ।
আপনি আপনার সাইট থেকে DA, PA, কন্টেণ্ট টপিক এবং সর্বোপরি একটা পোস্ট বা পেইজ যুক্ত করতে চাইবেন এমন একটা সাইট থেকে যেটা তাদের লিঙ্ক হিস্ট্রির সাথে খাপ খায়।
উদাহরন সরূপ, যদি আপনি দেখেন যে , আপনার একজন কম্পিটীটর xyz.com থেকে ভিডিও মার্কেটিং সংক্রান্ত একটি লিঙ্ক পেয়েছে, তাহলে আপনিও সেখানে আপনার সাইট থেকে সেইম টপিকে একটা লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারেন।
এখন, আপনি যেহেতু একটা স্প্রেড শিট বানিয়ে নিয়েছেন এবার এগিয়ে যাবার পালা।
Open Site Explorer নোট করুন আর সার্চ বারে কম্পিটীটরদের লিঙ্কটাকে টস করে নিন।
সার্চের মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিটীটরদের ওয়েব সাইট ডোমেইন এবং পেইজ অথোরিটি ডাটা সহ কতটা শক্তিশালী সেটার সম্পর্কে একটা ধারনা পেতে পারেন।
আপনি এর মাধ্যমে একটা পেইজের টোটাল লিঙ্ক সম্পর্কেও ধারনা পেতে পারেন। কিন্তু, অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি যে URL টাইপ করেছেন , শুধু মাত্র সেটার লিঙ্ক সংখ্যাই আপনি জানতে পারবেন , পুরো সাইটের নয়।
পুরো সাইটের লিঙ্ক সংখ্যা জানতে হলে , বামদিকে ‘’compare link matrics ‘’ এ ক্লিক করুন।
এখান থেকে পেইজের নিচের দিকে স্ক্রল করে যান রুট ডোমেইন ম্যাট্রিক্স এর জন্য ।
টোটাল এক্সটারনাল লিঙ্ক মানে মানে হচ্ছে একটা সাইটের মোট ব্যাক লিঙ্ক শুধু মাত্র টাইপকৃত URL নয়।
এরপর এই বেস্ট লিঙ্কগুলোকে লোকেট করার জন্য আপনাকে ৩ টি সুনির্দিষ্ট ধাপ ফলো করতে হবে।
১/ মেনু থেকে ইনবাউণ্ড লিঙ্ক সিলেক্ট করুন ।
২/ কাস্টমস ফিল্ডের অধীনে ‘’ this root domain’’ টার্গেট হিসেবে , ‘’ only external’’ লিঙ্ক সোর্স হিসেবে ,এবং ‘’link equity link type’’ হিসেবে সিলেক্ট করুন ।
৩/ DA [ডোমেইন অথোরিটি] কলামে ক্লিক করুন ।
হাই থেকে লো পর্যায়ক্রমে সাজানোর জন্য ।
এটা আপনাকে পুরো ওয়েবসাইটের শুধু ব্যাক লিঙ্ক গুলো দেখাবে যেটা SEO বুস্ট করতে সহায়ক।
এটা আপনাকে দ্রুত টপ সাইটগুলোকে ফোকাস করতে হাই থেকে লো পর্যায়ে কলাম বিন্যাস্ত করে দিবে।
এরপর আপনার ট্রেন্ড খোঁজার পালা।এমন কোন পোস্ট কি আছে যেটা মানুষ অন্যদের দেখে লিঙ্ক করেছে? খুঁজে বের করুন ।
যদি থাকে , আপনার গুগল সীটের নিচে সেটা দেখান।
প্রতিটি লিঙ্কের URL এবং কন্টেন্ট টপিক অবশ্যই লিস্ট করুন।
আপনার কম্পিটীটরদের লিঙ্কের যে আলাদা আলাদা সোর্চ গুলো আছে সেগুলো লিখে ফেলুন।
এখানে আপনার লক্ষ হবে, যে সাইট গুলোতে লিঙ্ক করা হয় সেগুলোতে পর্যাপ্ত নজর রাখা এবং কোন ধরনের টপিকে তারা লিঙ্ক করছে সেটা নজর রাখা।
এতে করে আপনি ঐ সাইটগুলো কোন বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা করে , লিঙ্ক ক্যাম্পেনের সময় এজ দিয়ে এটা আপনাকে ঐ সাইটগুলো কোন কোন বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা করে সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা দিবে।
সুনির্দিষ্ট পোস্টে নজরদারি করুন
যেহেতু আপনি সুন্দর একটা লিস্ট এখানে করে ফেলেছেন, এবার আরও সুনির্দিষ্ট করার পালা।
একটা কমন ট্রেন্ড হয়তো লক্ষ করে থাকবেন যে, নির্দিষ্ট পোষ্টগুলি প্রায়ই প্রচুর ব্যাক লিঙ্ক পায়।
কিন্তু কেন? সেটাই আমরা এখানে আলোচনা করবো ।
আপনার কম্পিটীটরদের খুব পপুলার লিঙ্ক নিয়ে এটাকে পুনরায় open site Explorer এ দিয়ে সার্চ করুন ।
আপনার ফিলটার গুলোকে একই রেখে নিচের দিকে ইনবাউন্ড সেকশনের দিকে স্ক্রল করুন।
এবার, আপনি একটা সুনির্দিষ্ট টপিকেঅ্যানালাইজ করতে পারেন যেটা সবগুলো সাইটের সাথে সম্পর্কিত ।
যদি ইতিমধ্যেই আপনার সেইম অথবা সিমিলার টপিকে কন্টেন্ট থাকে , তাহলে সেটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে। আর যদি না থাকে তাহলে হয়তো নতুন একটা লিখতে হতে পারে। কিন্তু এর মাধ্যমে যদি ১০ টা লিঙ্ক পাওয়া যায় তাহলে ১ টা লিখে নেয়াই ভালো নয় কি?
আপনি পোস্ট করেছেন এমন টপিকে যেগুলোতে আপনার কম্পিটীটররা লিংক পাচ্ছে সেগুলোতে ফোকাস করুন ।
এটা করলে মোটামুটি লিংক পাওয়ার সাথে জড়িয়ে সব কাজই সেরে যায়।
যখন আপনার গুগল সিটটি দেখতে মোটামুটি এরকম হয় , এর মানে আপনি এবার তাদের লিঙ্ক চুরি করতে পারেন।
এরপরের কাজ হচ্ছে তারা কিভাবে লিংক গুলো পেয়েছে সেটা চিহ্নিত করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা।
উদাহরন সরূপ, তারা কি এগুলো গেস্ট ব্লগিং পোস্ট এর বাই লাইন থেকে পেয়েছে?
আপনার ইন্ডাস্ট্রির বেষ্ট সাইট গুলো থেকে ব্যাক লিংক পাওয়ার জন্য এটা খুব জনপ্রিয় একটা পদ্ধতি।
অধিকাংশ সময়ই , ব্লগগুলি আপনার কন্টেন্ট এর জন্য আপনাকে একাধিক বাই লাইন লিংক দিবে।
এর মাধ্যমে আপনি হাই ডোমেইন অথোরিটি যুক্ত ডাইভার্স ব্যাক লিংক নিশ্চিত করতে পারেন ।
আর যদি তারা কিভাবে লিংক পেয়েছে তা বের না করতে না পারেন দুশ্চিন্তার কিছু নেই ।
এমনকি আপনার যদি নুন্নতম ধারনাও না থাকে , আপনার কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে একটা ভালো রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে।
ব্যাক লিংক পাওয়া অথবা এক্স চেঞ্জ করার জন্য ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন
মার্কেটিং এর সম্পর্কই ‘’গিভ এন্ড টেক’’ এর ভিত্তিতে । কেউই এমন লোককে পছন্দ করবেনা যে কিছু না দিয়ে লাগাতার চাইতেই থাকে ।
এখানে , স্বার্থপরতার বিষয়টা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ।
আপনি কাউকে তার জন্য ভেলু অ্যাড করে এমন কিছু না দিয়ে নিশ্চয়ই তার থেকে লিংক চেয়ে মেইল করতে পারেননা ।
এটা করলে অন্য সাইটের সাথেও অন্যায় করা হবে এবং এটা আপনাকে খারাপ ফ্রীলডার ইমেজ দিবে।
লাস্ট ফোকাসটা করার প্রবনতা বেশি দেখা যায় সেটা হচ্ছে ফেমিং করে লিংক শেয়ার করা যেটা আপনার সুনাম নষ্ট করে দিতে পারে।
লিংক বিল্ডিং মূলত দুটি জিনিসের উপর নির্ভরশীল ।
১/ এক্সেপ্সনাল কন্টেন্ট এবং
২/ সুসম্পর্ক
প্রথমেই আপনি যে সাইট থেকে লিঙ্ক পেতে চান , সে সাইটে যান।
যদি আপনি তাদের মেইল অ্যাড্রেস না পান বা যোগাযোগ করতে না পারেন Opening Linkedin এ গিয়ে তাদের কোম্পানি পেজ খুঁজে যোগাযোগের চেষ্টা করুন ।
ঐ কম্পানিতে কাজ করে এমন কাউকে আপনি দ্রুতই পেয়ে যাবেন।
যেমন আপনি যদি Hubspot এ যান , আপনি তাদের এমপ্লয়িদের পেয়ে যাবেন।
লিংক এ ক্লিক করে তাদের এমপ্লয়িদের লিস্টে চলে যান।
এরপর, তাদের কন্টেন্ট মার্কেটিং হেড অথবা চিফ মার্কেটিং অফিসারকে খুঁজে বের করুন ।
ব্লগে কর্তিত্ত আছে এমন বাক্তিকে খুঁজে বের করুন ।
যদি সেখানে অনেক বেশি এমপ্লয়ি থাকে, কি ওয়ার্ড দিয়ে সাইডবারে সার্চ দিয়ে খুঁজুন ।
এভাবে আপনি সুসম্পর্ক তৈরি করার জন্য সঠিক লোককে খুঁজে বের করতে পারেন।
যদি আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং লিড পেতে চান, কন্টেন্ট টাইটেল দিয়ে খুঁজুন।
এরপর তাদের প্রোফাইল বের করুন । যদি আপনি linkedin প্রিমিয়াম ব্যাবহার করেন, তাহলেইমেইলের আশায় না থেকে বিনামূল্যে একটি ই মেইল পাঠাতে পারেন।
অরগানিক ওয়েতেযোগাযোগ করার এটাই সবচেয়ে ভাল উপায়।
তাদের প্রোফাইল গিয়ে ‘’more…’’ অপশনে ক্লিক করুন ।
এখান থেকে আপনি সরাসরি একটি ব্যক্তিগত ম্যাসেজ টাইপ করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন শুধুমাত্র linkedin primium থেকেই আপনি সংযুক্ত নন এমন কাউকে ম্যাসেজটি পাঠাতে পারেন।
আসলে, ম্যাসেজ পাঠানোর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রিলেশনশিপ বিল্ড আপ করা।
লিংক চাওয়াটা অবশ্যই লোভনীয় কিছু। কিন্তু এখানে ব্লক হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
অথবা সে আপনাকে গ্রাহ্য নাও করতে পারে।
আবার, এর মাধ্যমে আপনার রেপুটেশন নষ্ট হবার আশঙ্কা রয়েছে ।
ভেবে দেখুন,
আপনি ২০ টা বা তার চেয়ে কম সংখ্যক লিংক ইমেজ খারাপ না করে পেতে চান নাকি বেশি চান ইমেজ সংকটে রেখেও ।
উত্তরটা অবশ্যই পরিষ্কার । SEO তে সময় লাগবেই। কোন কিছু রাতারাতিহয় না।
নিচের নিয়ম ফলো করে ইন মেইল পাঠানোর চেষ্টা করতে পারেন।
হাই,
আমি কিছুদিন থেকে আপনার কিছু ব্লগ কন্টেন্ট ফলো করছি।
আমার কাছে এগুলো খুবই চমৎকার লেগেছে।আমি প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এগুলো পড়ার চেষ্টা করি।
আমি আপনার লেখা গুলো দেখে নিজেও অনুরূপ কিছু লেখার অনুপ্রেরণা পাই।
আমি আপনার অরিজিনাল পোস্ট ইন্সপিরিসান হিসেবে লিঙ্কও করেছি ।
এটা এরকম; অ আ ক খ …।
যাই হোক আপনি এগিয়ে যান খুব ভালোভাবে ।আপনি চাইলে কানেক্ট হতে পারেন এখানে…।।
ইতি,
নেইল
মেসেজটি আপনার linkedin ইন মেইল অপশন এ ক্লিক করুন।
কাউকে শুধুমাত্র লিঙ্ক দেখে বিরক্ত না করে এভাবে খুব ভাল একটি সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন।
এটাই সবচেয়ে ভাল উপায়।
লক্ষ করুন , এখানে আমি কিন্তু তাকে একটি লিঙ্ক দিয়েও বিনিময়ে কিছু চাইনি সরাসরি । এভাবেই বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
এভাবে সে আপনাকে বিশ্বাস করে হয়তো তাৎক্ষনিক একটা লিংক দিয়েও দিতে পারেন।
আমার ক্ষেত্রে এটা খুব ভাল কাজ করেছে।
আপনি যদি ইন মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে না পারেন তাহলে ইমেইলের মাধ্যমে চেষ্টা করুন ।
এর জন্য Voila Norbert এ একটা ফ্রী একাউণ্ট খুলতে পারেন।
আপনি একাউন্ট ওপেন করলেই যে কারো ইমেইল মুহূর্তে পেয়ে যাবেন ।
আপনাকে শুধু ড্যাশ বোর্ডে গিয়ে যাকে চান তার কোম্পানির নাম লিখলেই হবে।
খুব দ্রুত ঐ ইমেইলটি বের করে দিবে।
আর যদি আপনার কাছে অলরেডি একটা ইমেইল লিস্ট থাকে তাহলে কি করবেন?
আপনি ইমেইলটি আপলোড করে প্রোগ্রামের মাধ্যমে এটা ভেরিফাই করে নিতে পারেন।
এরপর ঐ ইমেইলটা আপনার আপনার লিস্টে দিয়ে অটোমেটিক একটা ভেরিফাইড ইমেইল দিবে।
ইমেইল এস্পেক্টিং এবং কালেকশন ছাড়াই একটা অ্যাকুরেট ইমেইল লিস্ট তৈরি করার জন্য এটা আমার খুব পছন্দের একটা টুল।
এরপর ইমেইল আকাউন্ট খুলে আপনার প্রত্যাশিত লোকের জন্য ঐ ম্যাসেজটি টাইপ করুন এবং অবশ্যই নিশ্চিত করুন যে , এটা তাদের ইতিহাস এবং ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্সের সাথে খাপ খায়।
যথারীতি, নেচেরালি লিখুন। অতিরঞ্জন করবেননা । লিংক ভিক্ষা চাইবেন না এবং অবশ্যই সরাসরি কিছু চাইবেন না।
অবশ্যই নিশ্চিত করুন , আপনার কাছে তাদের জন্য ভেলু অ্যাড করার মতো কিছু আছে এবং কিছু চাওয়ার আছে তাকে সেটা দিচ্ছন।
লিঙ্ক বিল্ডিং মানে সবাইকে বিরক্ত করা বা নিজেকে ছোট করা । আপনি অন্যদের জন্য ভেলু অ্যাড করে যান দেখবেন লিঙ্ক অটোমেটিক চলে এসেছে।
শেষ কথা,
ব্যাক লিঙ্ক হচ্ছে SEO এর পরেই সবচেয়ে জরুরি জিনিস।
সবাই বেশি বেশি ব্যাক লিঙ্ক পেতে চায়। কিন্তু সেজন্য পরিশ্রম করতে চায় না।
আপনি যদি গুগল সার্চ রেসাল্টে খুব ভাল পজিশন চান, তাহলে ব্যাক লিঙ্ক ছাড়া এটা কখনই সম্ভব নয়।
এমনকি যদি কি ওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম যদি ০( শূন্য ) ও হয় , সেটা ব্যাক লিঙ্ক ছাড়া রেঙ্ক করানো সম্ভব নয়।
অধিকাংশই ব্যাক লিঙ্কের জন্য ডিরেক্টরির শরণাপন্ন হয়। কিন্তু গুগল কে বোকা বানানো যায় না।
ডিরেক্টরি সবাইকেই ব্যাক লিঙ্ক দেয়। কিন্তু সেটা কখনই রিয়েল ইন্ডাস্ট্রি সাইটের মতো কার্যকরী নয়।
তাহলে আপনি কি করবেন?
কম্পিটীটরদের উপর নজর রাখুন।
তাদের ব্যাক লিঙ্ক প্রোফাইল রিসার্চ করে দেখুন। কোন সাইট গুলো তাদের লিংক দিচ্ছে এবং কেন?
এটা বার বার করুন ।
গেস্ট ব্লগ করুন। আউট রিচ করুন। মোটকথা সম্ভাব্য সব কিছুই করুন।
কিন্তু মনে রাখবেন , অবশ্যই সব কিছু ন্যাচারাল হতে হবে এবং কখনই লিঙ্ক সরাসরি চাইবেন না।
পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সত্যিকারের বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলুন যেখানে দুজনেরই ফায়দা থাকে।
গুগল রাঙ্কিং এর জন্য ব্যাক লিঙ্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি কি আপনার ব্যাক লিঙ্ক পড়াতে চান?
আপনার কম্পিটীটরদের উপর নজর রাখুন, তাদের পরিশ্রম নিজের কাজে লাগান।
এরপর দেখুন আপনার বিজনেস কিভাবে ভাল পজিশনে চলে আসে।
আপনার সাইটে অধিক পরিমানে ব্যাক লিঙ্ক পাওয়ার জন্য আপনি কি করেন???
Article Source: https://neilpatel.com/blog/steal-competitors-backlinks